৩৯ মিনিটে অ্যালভারেজের করা গোলের আগে ম্যাচের লিড এনে দেন অধিনায়ক মেসি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন এই মহাতারকা। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড অ্যালভারেজকেকে ফাউল করেন ক্রোয়েট গোলরক্ষক। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ডিফেন্ডার পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক করায় তাকেও একটি কার্ড দেন। ক্রোয়েট গোলরক্ষক ব্রাজিলের বিপক্ষে পেনাল্টি শ্যুটআউটে শট রুখে দিলেও এ ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন।
দুই ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে গোল করেছেন। অ্যালভারেজের এই গোল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গোলকেও যেন স্মরণ করিয়ে দিলো একটু করে।
পেনাল্টিতে গোল খাওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাচের চিত্র ছিল ভিন্ন। ক্রোয়েশিয়া দারুণ ভাবে খেলায় ছিল। বল পজেশন, আক্রমণ সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল। আর্জেন্টিনা কাউন্টার অ্যাটাকেই খেলার চেষ্টা করেছে। ত্রিশ মিনিটে বল পজেশন ও আক্রমণে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টির পরই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া; যারই ফল, পাঁচ মিনিট পর আরও এক গোল হজম!
দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া শুরুতে দুই জন খেলোয়াড় বদল করে। খেলোয়াড় বদল করেও ম্যাচের চিত্র বদলাতে পারেননি। এই অর্ধে মেসিদের নিয়ন্ত্রণ ছিল আরো বেশি। ৬৮ মিনিটে মেসির বাড়ানো দুর্দান্ত পাসে অ্যালভারেজ প্লেসিংয়ে গোল করেন৷ এই গোলের মাধ্যমে গত আসরে ০-৩ গোলে হারের মধুর প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে যায়৷
ক্রোয়েশিয়ার তারকা ফুটবলার লুকা মদ্রিচকেও উঠিয়ে নেন কোচ দালিচ। ফলে ম্যাচের বাকি সময় ছিল শুধু আর্জেন্টিনার জয়ের অপেক্ষা। শেষে আকাশি-সাদাদের বিপদসীমায় বহুবার আঘাত হেনেছে ক্রোয়াটরা। তবে লাভ হয়নি, চোয়ালবদ্ধ রক্ষণে সব সামলেছেন নিকলাস অটামেন্ডিরা। যাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই আর্জেন্টিনা চলে যায় বিশ্বকাপের ফাইনালে।
Leave a Reply