লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামটি লালমনিরহাট পৌরসভা ঘেঁষা। যার কারণ গ্রামটি শহরের আদলে গড়ে উঠেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তেলিপাড়া দুর্গা মন্দিরের পাশে সুদাশন ও বিটুল মিয়ার খড়ের গাদায় আগুন দেখে লোকজন চিৎকার শুরু করেন। এ সময় সবাই ঘুম জেগে উঠে একই সময় ওই গ্রামের ২৬টি স্থানে আগুন দেখতে পান।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খবর পেয়ে লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে চাঁদনী বাজার এলাকার একটি খড়ের গাদার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাকি স্থানের আগুন স্থানীয়রা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গ্রামটির প্রবেশ পথ তেলিটারী কালি মন্দির হয়ে সোজা দক্ষিণে সড়কের দুই পাশে ২৬টি স্থানে খড়ের গাদা, জমানো শুকনো পাতা, বেড়া, ছাউনি এবং পোল্ট্রি খামারে আগুন লাগে। বড় ধরণের কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কেউ জানাতে পারেনি। তবে ‘অদৃশ্য শক্তির’ লাগানো আগুন বলে ধারণা করে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।পার্শ্ববর্তী সুইপার কলোনীর ভাটিখানায় আগত মদ্যপরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন বলেও কেউ কেউ ধারণা করছেন। গ্রামবাসীকে আতঙ্কিত করতে অপরাধী চক্র এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া মিলন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আতাউর রহমান বলেন, সড়কটির প্রবেশ পথ সুদাশন ও বিটুল মিয়ার বাড়ি থেকে শুরু করে আমার পোল্ট্রি খামারে শেষ হয়েছে। খামারের মুরগির চিৎকারে ঘুম থেকে জেগে দেখি খামারে আগুন। নিজেরা নিভিয়েছি। প্রায় সবার বাড়িতে আগুন। কে কাকে সহায়তা করে। খামার নিয়ে বড় আতঙ্কে রয়েছি। উঠতে একটু বিলম্ব হলে এক হাজার মুরগিসহ পুরো বাড়ি পুরে ছাই হয়ে যেত।
লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, একই সময় এভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ বা জিডি না করলেও আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করছি। আতঙ্কিত না হয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply