নিউজ ডেস্কঃ
নিজেদের স্বার্থ হাসিলে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিদেশিরা। এখন সময় এসেছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন । মঙ্গলবার বিকালে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পরবর্তী এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সভায় বিদেশ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশীদের কথায় নয়, দেশের মঙ্গল বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, পদ্মা সেতু তারই উদারহরণ। পদ্মা সেতু প্রকল্পে সেইসময় কোনো কোনো বিদেশি সংস্থার লোকজন সেতু আদৌও হবে কি না, সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। আর তাদের কথায় সেসময় দেশের মধ্যেও কিছু লোক লাফালাফি করেন’।
তবে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরা চাইলেই করতে পারি। বিদেশিরা অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে ফন্দি ফিকির করেন। তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়। বিদেশিদের কথায় কখনো লাফানো উচিত নয় বলেও জানান তিনি।
ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের আত্মপরিচয়। আমাদের আত্মবিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুর সেই কথা আবারো প্রমাণ হলো- বাঙালি চাইলে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু বাংলাদেশের গৌরবের অধ্যায়। তবে এই সেতু তৈরির সময় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেয় করার চেষ্টা হয়েছিল। শেষে প্রমাণ হলো প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই সঠিক।’
পদ্মা সেতু পরবর্তী আলোচনা সভার আয়োজন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে প্রকল্পের শুরুতে সৃষ্ট জটিলতা ও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরনের অতিথিরা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান মন্তব্য করেন, প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও বিশ্বব্যাংকের বিরাগভাজন হন তিনি। অনুষ্ঠানে সাবেক সেতু সচিব বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে যে অসম্মান তার সমুচিত জবাব দেয়া হয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে।
অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সানেমের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হানও অলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সাত বছরের নির্মাণ কাজ আর দীর্ঘদিনের বিতর্ক ও সমালোচনা পেছনে ফেলে গত শনিবার দেশের বৃহত্তম এ যোগাযোগ অবকাঠামো উদ্বোধন করা হয়। পরদিন রোববার থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া প্রমত্তা পদ্মার উপর দিয়ে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলার সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয় দেশের সব এলাকার।
Leave a Reply