লালমনিরহাট প্রতিনিধি;তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করায় লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি কমে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ধরলার পানি শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি এখনো বাড়ছে।
জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি ও সদর উপজেলার ১৯টি পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক বসতবাড়ি তিস্তা ও ধরলার গর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান। তবে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, বন্যায় জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি ও সদর উপজেলার নদীবেষ্টিত ১৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিবারের ৫১ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও মানুষ এখনো সেখানে ওঠেনি।
কিছু মানুষ উঁচু স্থান ও বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন। পানি ওঠায় জেলার ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট এবং স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় চলাচল করছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
এছাড়াও বন্যা আক্রান্ত পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট, বাদাম, তিল, কাউনসহ উঠতি ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে মাছ চাষিরা হয়েছেন সর্বশান্ত।
Leave a Reply