নিউজ ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণেই পদ্মা সেতুর স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরে গেলেও, বাংলাদেশের সক্ষমতায় পূর্ণ বিশ্বাস ছিল বেইজিংয়ের। তাই সেতু নির্মাণে কারিগরি ও ঠিকাদারি সহায়তা দিয়ে ঢাকার পাশে তার দেশ ছিল বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
সক্ষমতা, দৃঢ়তা আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক এই পদ্মা সেতু। ২৫শে জুন হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম এই সেতুর উদ্বোধন।
এটি নির্মাণে ঠিকাদারি ও কারিগরি সহায়তা দিতে পেরে খুশি চীন। ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বলছেন, বিশ্বের যেকোন দেশের থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যে কম নয়, তারই প্রমাণ এই মেগা-স্ট্রাকচার। তিনি আরও বলছেন, ঢাকার ওপর বেইজিংয়ের আস্থা সব সময় অটুট, আগামীতেও থাকবে।
চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, চীন সব সময়ই বাংলাদেশের সক্ষমতার বিষয়ে আস্থাশীল। তাই আন্তর্জাতিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পর সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি এ কাজে এগিয়ে আসে। কারণ চীন বিশ্বাস করেছিল, এদেশের অর্থনীতির ভিত এতটাই মজবুত যে, নিজস্ব অর্থায়নেই তারা এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবে এবং বাস্তবেও তাই হয়েছে।
লি জিমিং জানান, নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা কতটা সময় উপযোগী ছিল, তা এখন গোটা বিশ্ব উপলদ্ধি করছে।
লি জিমিং বলেন, শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত উদ্যোগেই পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের যেই দূঃসাহস তিনি দেখিয়েছেন, বিশ্বের অন্য কোনো নেতা এমন কিছু করতেন কিনা আমার সন্দেহ। পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নয়, পুরো বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারাই বদলে দেবে।
পদ্মা সেতু চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ- বিআরআইয়ের অংশ নয় জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বিআরআই সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা না থাকার কারণেই এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। পদ্মা সেতু বিআরআইয়ের অংশ নয়। তবে এ সেতুর সুফল প্রতিবেশী দেশগুলোও চাইলে নিতে পারবে। সেতুটি হওয়ায়, ভারত ছাড়াও মিয়ানমার ও চীনের সঙ্গেও বাংলাদেশের যোগাযোগের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
পদ্মা সেতু থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বব্যাংকে ক্ষমা চাওয়া উচিত কি-না, এ প্রশ্নে লি জিমিংয়ের বলেন, এ ঘটনা থেকে নিশ্চয়ই তাদের একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে।
Leave a Reply