সাসেক প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক নির্মাণকাজ চলমান থাকায় বগুড়া অংশের কয়েকটি স্থানে সৃষ্টি হতে পারে ব্যাপক যানজট। ৬ লেনের এই মহাসড়ক নির্মাণকাজ চলমান থাকায় মহাসড়কে গাড়ির গতি ধীর এবং কয়েকটি স্থানে সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবার ঈদে মহাসড়কে ভোগান্তি পোহানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঈদে বগুড়া অংশে সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে চলবে গাড়ি।
ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া অংশে রয়েছে সিরাজগঞ্জের প্রান্ত থেকে গাইবান্ধার প্রান্ত পর্যন্ত ৮৬ কিলোমিটার মহাসড়ক।
এর মাঝে চান্দাইকোনা মহাসড়কে সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়নি, একই অবস্থা মহাস্থানে।
এ ছাড়া পল্লি উন্নয়ন একাডেমি, বগুড়া শহরতলির পুরান বগুড়া এবং চারমাথা, বারপুর ও মাটিডালি এলাকায় যানজটের আশঙ্কা করছেন পরিবহন মালিক ও চালকরা।
বগুড়া থেকে ঢাকাগামী বেশ কয়েকটি ট্রাকের চালক জানান, বগুড়া অংশের কাজ যে হারে হয়েছে সেই তুলনায় সিরাজগঞ্জ অংশের কাজের তেমন অগ্রগতি হয়নি। এ কারণে এ মহাসড়কজুড়ে থাকবে গাড়ির ধীর গতি। বিশেষ করে বগুড়া অংশে চান্দাইকোনা ও মহাস্থান ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় যান চলাচলে সমস্যা হবে।
একতা পরিবহনের চালক আব্দুল মতিন জানান, অনেক স্থানেই কাজ সম্পন্ন হয়নি, আবার বেশ কিছু পয়েন্ট রয়েছে যেখান দিয়ে শহরে প্রবেশ করতে হয় এসব পয়েন্টে স্বাভাবিক সময়েই যানজট থাকে। ঈদের সময় যেহেতু সড়কে গাড়ির পরিমাণ বেশি থাকবে, তাই যানজটও বাড়বে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঈদের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গাড়ি সড়কে থাকে। এ কারণে কিছু সমস্যা হবে।
এ ছাড়া কয়েকটি স্থানে সাসেক প্রকল্পে সেতুর কাজ চলমান, ঈদের আগে সেসব সেতু খুলে দেওয়া না হলে সমস্যা হবে।
বগুড়া অংশের মধ্যে মহাস্থান ও চান্দাইকোনা ছাড়া অন্য কোথাও তেমন সমস্যা থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঈদের এ সময়টুকু যেভাবেই হোক মহাসড়কে যেমন যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। জেলা পুলিশের সহায়তা গ্রহণের পাশাপাশি মহাসড়কে কোনো গাড়ি বিকল হলে তা অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মহাসড়কের এ অংশে ঈদের মৌসুমে ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চলাচল সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
Leave a Reply