ইব্রাহিম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনার সংক্রমন রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায়
নীলফামারীতেও বন্ধ রয়েছে পাঠদান কার্যক্রম। বেতন-ভাতা না থাকায় বেকার হয়ে
পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এ জেলার ছয় উপজেলার প্রায় কয়েক
হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ
থেকে বৈশ্বিক মহামারীতে অধিকাংশ শ্রেণীপেশার মানুষজন প্রনোদনার আওতায়
এলেও, সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা এসব বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাগ্যে জোটেনি কোন প্রকার সরকারী বরাদ্দ বা প্রনোদনা।
দীর্ঘদিন বেতন ভাতাদি না পাওয়ায় অসহায় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা।
কথা হয়, জেলা সদরের খেরকাটী আদর্শ নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান’র
সাথে, তিনি জানান, করোনা সংক্রোমন রোধে গত ১৭ই মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে
সকল সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ৮ মাস ধরে বেতন ভাতাদি
পাচ্ছেন না সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের
শিক্ষক কর্মচারীরা। এমনকি আমাদের ভাগ্যেও জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর কোন
প্রনোদনা। এর ফলে পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই।
সদরের টুপামারী ইউনিয়নের সুখধন বাজারস্থ ওসমান গনি হাইটেক
রেসিন্ডিসিয়াল’র অধ্যক্ষ মোঃ নবাব উদ্দিন বলেন, অনন্য শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের মতই আমরাও অনলাইন শিক্ষা সেবা প্রদান করেছি। এরপরও সরকারের
কোন প্রনোদনা ভাগ্যেও জোটেনি। এর ফলে দুর্বিসহ জীবন যাত্রায় রয়েছেন
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা। “গত ৮ মাস ধরে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বেতন ভাতাদি না পাওয়ায় খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন
করতেছেন তাঁরা।
নীলফামারী জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন’র সভাপকি আলহাজ্ব মোহাম্মদ
আব্দুল মান্নান জানান, কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর ছাত্র/ছাত্রীদের বেতন
দিয়ে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞা
মেনে চলা এসব কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাগ্যেও মেলেনি
সরকারী প্রনোদনা। গণতন্ত্রের মানস কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতি
দ্রুতই অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষদের মতই এসব অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের
প্রনোদনার আওতায় এনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবেন।
কথা হয়, নীলফামারী সদর উপজেলা নর্থ বেঙ্গল কিন্ডারগার্টেন অব এসোসিয়েশন
সচিব চঞ্চল চ্যাটার্জী বলেন, মহামারী করোনার ভাইরাস সংক্রমন রোধে গত ১৭
মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় নীলফামারী সকল কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ
রয়েছে। এসব শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন ভাতাদি পাচ্ছেন না । এর ফলে পরিবার
নিয়ে অসহায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :