নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নতুন সার্চ কমিটির সবাই আওয়ামী চেতনার হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, সার্চ কমিটি গঠনে যে আইন সেটি তো পরিচালনা করবেন সরকার এবং তার নির্বাহী বিভাগ। যারা আইন প্রণয়ন করবেন তারা তো সরকারের কথায় করবেন। আওয়ামী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ না হলে আইন প্রণয়ন করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, যে সার্চ কমিটি হবে সেটি হবে আওয়ামী- বাকশালী চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ। মুজিব কোট পরা লোকেরাই সরকারের সার্চ কমিটিতে থাকবেন। এই সার্চ কমিটি হারিকেন দিয়ে খুঁজে খুঁজে মুজিব কোট পড়া লোকদের বের করে আনবে।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, দেশের মানুষ যারা বিদেশে আছেন (প্রবাসী), তারা যদি এই সরকারের সমালোচনা করেন তাহলে তাদের পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে, তাদের নাগরিকত্ব থাকবে না বলে মন্ত্রীপরিষদে আলোচনা হয়েছে। সরকারের সমালোচনা আর রাষ্ট্রদ্রোহিতা তো এক জিনিস নয়। পাসপোর্ট তো একটা ট্রাভেল ডকুমেন্টস, এটা বাতিলের মধ্য দিয়ে আপনারা কী বোঝাতে চাচ্ছেন? তাহলে তো আন্তর্জাতিকভাবেই তাদেরকে রাষ্ট্রহীন করে দিলেন। তার কোন রাষ্ট্র থাকল না। রাষ্ট্রহীন একজন নাগরিক হিসেবে বাতাসে বাতাসে ভেসে বেড়ানো ছাড়া তার আর কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, সরকার বিরোধী দল শূন্য বাংলাদেশ চায়, সরকার বিরোধী মত শূন্য বাংলাদেশ চায়। এখন নাগরিক শূন্য রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টায় লিপ্ত এই সরকার।
তিনি আরও বলেন,’বিশেষজ্ঞরা বলছেন আজকে যে আইনটি পার্লামেন্টে তোলা হবে সেটি দেখে মনে হচ্ছে এটি সার্চ কমিটি গঠনের খসড়া। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য যে আইন, সেই আইন এটি না। তাহলে বাকশালী পার্লামেন্টে যে খসড়া আইন তুলছেন সার্চ কমিটি গঠন করার জন্য। এই আইনের মধ্যে জনগণের কোনো মতামত নেয়াও হয়নি। জনগণের কোনো অংশগ্রহণ নেই।
তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিএনপির তাঁতী বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম খান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, তাঁতীদলের সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Leave a Reply