1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
তিস্তার সেচে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ - রংপুর সংবাদ
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

তিস্তার সেচে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো রোপণ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : বুধবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭৯ জন নিউজটি পড়েছেন

দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানিতে তিন জেলার ১২ উপজেলার ৫ লাখ ১২ হাজার কৃষক এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বোরো রোপণে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, বোরো ধান চাষে জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকরা। অনেকে জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন, আবার কেউ চারা রোপণ করছেন, আগাছা পরিষ্কারসহ জৈব সার প্রয়োগ করছেন আবার অনেকেই জমিতে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে ১৮ হাজার হেক্টর, ২০১৫-১৬ সালে ১০ হাজার হেক্টর, ২০১৭ সালে ৮ হাজার হেক্টর, ২০১৮ সালে ৩৫ হাজার হেক্টর এবং ২০১৯-২০ সালে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে। ২৪২টি পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সহযোগিতায় প্রকল্পের কমান্ড এলাকা নীলফামারী সদর, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর, রংপুর জেলার সদর, বদরগঞ্জ, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, দিনাজপুরের পার্বতীপুর, খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলায় সেচের পানি দেওয়া হবে রোটেশন অনুযায়ী।

সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে সেচ কার্যক্রম শুরু করে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্প। টারশিয়ারী ও সেকেন্ডারি মিলে ৭৬০ কিলোমিটার ক্যানেল থেকে এই সেচ সুবিধা দেওয়া হয় সুবিধাভোগী কৃষকদের। বছরে বিঘা প্রতি ১৬০ টাকা নেওয়া হয় কৃষকদের কাছ থেকে এবং একর প্রতি (তিন বিঘা) নেওয়া হয় ৪৮০ টাকা।

নীলফামারীর ডিমলার নাউতরা শালহাটি গ্রামের কৃষক ও ক্যানেল তীরবর্তী বাসিন্দা সাজু মিয়া জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের পানি এবার চাহিদামতো পাওয়া যাচ্ছে। ক্যানেলের পানি দিয়ে প্রতি বছর বোরো আবাদ করি। এবারও সাড়ে ৫ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছি। ক্যানেলের পানিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা আর শ্যালো মেশিন ও সেচ পাম্পে খরচ অনেক বেশি।

একই গ্রামের শমসের আলী বলেন, ক্যানেলের পানিতে আবাদ করি হামরা। ভালো আছি। শ্যালো দিয়া আবাদ করলে খরচ বেশি পড়ি যায়। ক্যানেলের পানিতে ফলনও ভালো হয়। আশা করছি গতবারের মতো এবারও আবাদ করি লাভবান হমো।

পানি ব্যবস্থাপনা সমিতি কিশোরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সেচ পাম্প বা শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো আবাদে খরচ হয় অন্তত ১০ হাজার টাকা। সেখানে তিস্তা সেচ প্রকল্পের ফলে মাত্র ৪৮০ টাকায় সেচ সুবিধা পাচ্ছি আমরা।

জলঢাকা উপজেলা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমরা তিস্তার পানি দিয়েই বোরো আবাদ করি। খরচ কম আবার সময়মতো পানিও পাওয়া যায়। সমিতির সদস্যদেরও বলা হয়েছে সময়মতো পানি পাওয়া যাবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী শামীম জানান, আমরা পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যেখানে যতটুকু পানি প্রয়োজন ঠিক সেখানে ততটুকু পানি দিতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা। ভালো ফলনের জন্য পানির ব্যবহার নিশ্চিতও করেছি।

তিনি বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে লক্ষ্যমাত্রা নিরুপণে ব্যাঘাত ঘটেছিল। সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠেছি। ২৪২টি সমিতি রয়েছে  তাদের সঙ্গে কথা বলে রোটেশন অনুযায়ী পানি দেওয়া হবে তিস্তা এলাকায়।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী শামীম বলেন, তিস্তা ব্যারেজ রির্জাভারে ১৫ হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। যা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়া এলাকাগুলোতে পানি দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, নদীতে ফেব্রুয়ারির দিকে পানি কমতে থাকে। তারপরও রোটেশন অনুযায়ী দিলে সমস্যা হয় না। কারণ আবাদটা আমরা জানুয়ারির প্রথম থেকে শুরুর কথা বলেছি কৃষকদের। সে অনুযায়ী কাজও হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা জানান, এবার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামীবার আরও বেশি এলাকায় দেওয়ার চেষ্টা থাকবে। কারণ আগের চেয়ে এখন পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, পুরো মৌসুম মনিটরিং করা হবে সেচপ্রকল্প এলাকায়। এজন্য দায়িত্ব পালন করবেন আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিশেষ করে কেউ যাতে পাইপিং করে পানি নিতে না পারেন তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun