1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
কিছু লোক আছে ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী - রংপুর সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০২:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঈদযাত্রায় রেলপথে জোরদার হচ্ছে টহল-পাহারা আওয়ামী লীগ এখন সাম্প্রদায়িকতা ও বর্ণবাদ ছড়াচ্ছে: ফখরুল আদিতমারী সীমান্তে গুলিবিদ্ধ আহত বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যু রোজায় বেড়েছে দাম, খরচ যোগাতে ক্রেতার নাভিশ্বাস স্বাধীনতার ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯ বছরই ছিল দুর্ভাগ্যের : প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন-যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলছেন তাদের বউদের ভারতীয় শাড়ি কয়টা? খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল রংপুর জেলা যুবলীগের মাসব্যাপী ন্যায্য মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

কিছু লোক আছে ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৬০ জন নিউজটি পড়েছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহল বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর আমাদের দেশের কিছু লোক আছে তারা ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে। এই ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এ আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে সভাপতিত্ব করেন।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক জিয়া আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ফিউজিটিভ হয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উচ্চারণ না করে বলেন, এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে জেলে- দয়া করে আমরা তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছি। বাংলাদেশের সব থেকে বড় ও সব থেকে ব্যয়বহুল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর তার ছেলে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ফিউজিটিভ (পলায়নপর) হয়ে গেছে।

বর্তমানে লন্ডনে বসবাসরত তারেক জিয়া বাংলাদেশে পৃথক তিনটি মামলায় বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত। তিনি আদালত ও সরকারের চোখে বর্তমানে পলাতক। তারেক রহমান দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত। এ ছাড়া ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর লন্ডনে যুক্তরাজ্যে এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করায় বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

 

শেখ হাসিনা এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, যারা আজকে দুর্নীতি খোঁজে তাদের বলব, ২০০১ সাল থেকে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে সেটা দেখার জন্য। যারা ঋণখেলাপির কথা বলেন তাদের বলব, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর এলিট শ্রেণি তৈরি করার জন্য যে ঋণ খেলাপি সৃষ্টির কালচার এ দেশে তৈরি করে গেছে সেই খবরটা আগে নিন।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলেই তার বিরুদ্ধে লেগে থাকা, এটা এক শ্রেণির মানুষের অভ্যাস। কারণ যারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি, যারা খুনিদের নিয়ে এবং যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের উন্নয়নকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করতে চেয়েছিল- তাদের কিছু প্রেতাত্মা এখনো সমাজে আছে। ’
আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কোথায় কম আছে- প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা শুধু এ দেশের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আর উন্নয়নে নাকি হাজার হাজার কোটি টাকা ধ্বংস হয়েছে বলেন, তাদের বলব-ধ্বংসই যদি হয়ে থাকে তাহলে আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ শতভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছে কেমন করে? ব্যাপকভাবে রাস্তাঘাট হয়েছে। স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল কলেজ, ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার-এই যে এত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। এগুলো কীভাবে হয়েছে? আজকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। করোনাভাইরাসে অনেক উন্নত দেশ, অর্থশালী দেশ বিনা পয়সায় টিকা দেয় না। বিনা পয়সায় পরীক্ষা করে না। আমরা বিনা পয়সায় টিকা দিচ্ছি। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যদি অর্থ ব্যয়ই না হবে তাহলে এত কাজ হলো কীভাবে? এইগুলো যারা দেখে না তাদের চোখে হচ্ছে সেই ঠুলি পরা। খুনিদের ঠুলি, যুদ্ধাপরাধীদের ঠুলি। এরা দেশের উন্নয়ন দেখে না। লুটে খেতে পারছে না সেটাই হচ্ছে বড় কথা। তারা ওই গরিবের হাড্ডিসার, কঙ্কালসার দেখিয়ে দেখিয়ে বিদেশ থেকে অর্থ এনে খাবে আর লুটপাট করে খাবে। যা করে গেছে সেটাই তাদের বড় কথা। ’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা আমাদের শিখিয়েছেন দেশকে ভালোবাসতে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে। তিনি যেদিন ১০ জানুয়ারি ফিরে আসেন। ফিরে এসে যে শব্দগুলো তিনি বলেছিলেন যে তার স্বপ্ন এ দেশের মানুষ অন্ন পাবে, বস্ত্র পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সেটাই আমাদের আদর্শ।

তিনি বলেন, তারা কী এটা উপলব্ধি করতে পারে যে অর্থনৈতিক উন্নতি যদি না হয়ে থাকে তাহলে এত বড় বাজেট আমরা কীভাবে দিয়েছি? আর কীভাবে আমরা এত উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছি? বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহল বলে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর আমাদের দেশের কিছু লোক আছে তারা ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে। এই ঘেউ ঘেউ করতে থাকুক। এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। দেশের উন্নয়নটা হয়েছে বলেই আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ভোট চুরি করলে জনগণ তাদের ছেড়ে দেয় না।   বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে অতীতে যারা ছিনিমিনি খেলেছে, তারা তাদের শাস্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমতা থেকে হটিয়েছে।

সরকার প্রধান এসময় বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন,  আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাদের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার পদত্যাগের কথা স্মরণ করাতে চাই। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন যারা করে তাদের আমরা জিজ্ঞাসা করি, ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়া কেমন ইলেকশন করেছিল? আজকে যারা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তারা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভুলে যান কী করে? কয় পার্সেন্ট ভোট পড়েছিল? চার শতাংশ ভোটও পড়েনি। সব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোটের বাক্স সিল দিয়ে ভরে খালেদা জিয়া নাকি তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভোট চুরি করেছিল বলে কী হয়েছিল তার পরিণতি! তাদের তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী তো তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। পদত্যাগে বাধ্য হয় গণআন্দোলনে। ভোট চুরির অপরাধে নাকে খত দিয়ে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ভবনে পদত্যাগ করতে যাওয়ার সময় আমাদের পারমিশন নিয়ে যেতে হয়েছিল। জনগণের পারমিশন নিয়ে তাকে যেতে হয়েছিল। ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। এটা বাস্তবতা।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এমপি গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ,সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কেন্দ্রিয় সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এবং উত্তরের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী ও শেখ বজলুর রহমান।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun