নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ফাঁসাতে নিজে নির্বাচনী ক্যাম্পে নিজেই আগুন লাগিয়ে দিলেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নে বকুলতলা বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া পর থেকেই নলকা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক এর নামের অপ্রচার চালাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রায়গঞ্জ উপজলোর নলকা ইউনিয়নের ৭ নং নম্বর ওর্য়াডে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসনেরে নির্বাচনী অফিস নিজেই আগুন লাগিয়ে দেন। আগুন লাগিয়ে দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ও তার সমর্থিতরা সটকে পড়েন। আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পরপরই আ.লীগ প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ছোট ভাই সুলতান মাহমুদ ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিল্টন ও নৌকা সমর্থিতদের নামে অপ্রচার চালাতে থাকেন।
নলকা ইউনিয়নে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী রুহুল আমিন (আনারস) বলেন, নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আমাদের কেউ বিঘœ সৃষ্টি করছে না। তবে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় সাজানো নাটক হতে পারে।
নলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস ছাত্তার সরকার বলেন, নৌকা প্রতিকে জনগণের মাঝে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া মার্কার লোকজন তাদের নির্বাচনী ক্যাম্প আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
নলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রফেসর কাওছার হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত নেতা আবুল হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছে। নির্বাচনী মাঠ তার দখলে নিতেই তিনি এ নাটক করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসনে (ঘোড়া প্রতীক) বলনে, আওয়ামীলীগ সর্মথীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক নিজে আমার সর্মথকদরে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছে। ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা করবে মর্মে প্রচার প্রচারণা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী অফিস আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
আওয়ামীলীগ সর্মথীত প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নৌকার গণজোয়ারে ঈর্ষান্বিত হয়ে নির্বাচনী কলাকৌশল হাতিয়ে নেওয়ার জন্য নিজেই নিজের অফিস পুড়িয়ে দিয়েছেন। নলকাবাসী অবগত আছে যে, আরও ২জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা করছে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমর্কতা (ওসি) আব্দুল কাদরে জিলানী বলনে, বিষয় আমার জানা নইে। কেউ কোন অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply