স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রবিবার সকালে সিআইডির একটি দল তদন্তের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান।
যেখান থেকে নথিগুলো গায়েব হয়েছে সেই সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৭টি নথি গায়েব হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় একটি জিডি করে মন্ত্রণালয়।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তাতে বলা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই।
যে নথিগুলো খোয়া গেছে, সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা-সম্পর্কিত।
জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডেটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যানসার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্টের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি।
এর বাইরেও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।
জিডি বা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ অক্টোবর অফিসের সময় শেষ করে সবাই চলে যান। পরের দিন ২৮ অক্টোবর অফিসে এসে ওই ১৭টা ফাইল আর পাওয়া যায়নি।
ফাইলগুলো ক্রয় শাখার কম্পিউটার অপারেটরের ড্রয়ারে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি এই ঘটনার ছায়াতদন্ত করছে।
Leave a Reply