প্রযুক্তিতে মোবাইল ক্যামেরার মান উন্নয়নের তুলনায় পিছিয়ে ল্যাপটপ ওয়েবক্যাম। মোবাইলের আধুনিক ভিডিও কনফারেন্সিং টেকনোলজির তুলনায় কমেছে ল্যাপটপ ওয়েবক্যামের ব্যবহার।
করপোরেট কর্মকর্তাদের ক্লায়েন্ট বা বিজনেসের খাতিরে ওয়েবক্যাম ব্যবহার করতে হয়। এরপরও ২০১০ সালেও ওয়েবক্যাম যে অবস্থানে ছিল আজও সেখানেই আছে।
বর্তমানে টেক কোম্পানিগুলো হাইব্রিড প্রডাক্ট আনছে, মাইক্রোসফট টিম, জুম এবং গুগল মিট বা ইনফিনিক্স জিরো এইটের মতো মূলধারার স্মার্টফোনগুলো ৪৮ মেগাপিক্সেল রেজল্যুশনের সেলফি ক্যামেরা নিয়ে আসছে।
অন্যদিকে সাধারণ ব্যবহারকারীরা ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম সচরাচর ব্যবহার করেন না। যে কারণে ম্যানুফ্যাকচারাররা ল্যাপটপগুলোতে হাই কোয়ালিটি ওয়েবক্যাম দেন না। ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারাররা চিন্তা করেন, ব্যবহারকারীদের এইচডি বা আল্ট্রা এইচডি কোয়ালিটির ওয়েবক্যাম দেয়ার মানে শুধু অর্থের অপচয়। তাদের ধারণা ভালো ওয়েবক্যামের পেছনে টাকা খরচ করলেও গ্রাহকরা সেটি ব্যবহার করবে না।
এছাড়াও লো কোয়ালিটি ফোর এইটটি পি ওয়েবক্যাম বা লো কোয়ালিটি ভিজিএ ওয়েবক্যাম ব্যাবহার করলে ম্যানুফ্যাকচারাররা ল্যাপটপের অন্যান্য কম্পোনেন্টের ক্ষেত্রে বেশি বাজেট রাখার চিন্তা করেন। যে কারণে ল্যাপটপের ক্যামেরা উন্নত হয় না।
এতদিন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ না থাকলেও এখন ওয়েবক্যাম নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। কারণ করোনা মহামারীর কারণে অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে বসে কাজ করছেন। করপোরেট কর্মকর্তারা জুম মিটিং বা ইন-জেনারেল অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সিং টেকনোলজির ব্যবহার করছেন। যখন তারা দেখছেন তাদের ল্যাপটপে থাকা ওয়েবক্যাম লো কোয়ালিটি ভিডিও আউটপুট করে, তখন অভিযোগের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে।
হুয়াওয়ে ও অনার তাদের ক্যামেরা পপ আপ কি রাখলেও এতে সংযুক্ত ক্যামেরা নিজস্ব অ্যাঙ্গেলের কারণে জনপ্রিয় হতে পারেনি। আগামী দিনে যেসব ল্যাপটপ আসছে তাতে মোটা বেজেল, ডিসপ্লে বা পাঞ্চ হোল ক্যামেরা থাকতে পারে।
সূত্র: টেক রাডার
Leave a Reply