ভারতের গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে আরব সাগরে উৎপন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘তওকতে’। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়ের শক্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ মে) এটি গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, রবিবার (১৬ মে) রাতেই ঘূর্ণিঝড়টি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এরপর ১৮ মে, মঙ্গলবার সকালে তা গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। মঙ্গলবার দুপুরে অথবা সন্ধ্যায় গুজরাট উপকূলের পোরবন্দর এবং নালিয়া উপকূল অথিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টির।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, গতকাল (শনিবার) বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ এটি আরব সাগরের পূর্ব-মধ্য উপকূলে ছিল। সে সময় দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মুম্বাই থেকে ৫৯০ কিলোমিটার এবং গুজরাটের বেরাবলের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এলাকা থেকে ৮২০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড়টি অবস্থান করছিল। তবে প্রতি ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উত্তরের দিকে এগোচ্ছে ‘তওকতে’।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগেই গুজরাত উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশটির একাধিক রাজ্যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। ফলে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে এবং সমুদ্রবর্তী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট।
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, তওকতের কারণে শুক্রবারই লাল পতাকা জারি করা হয়েছে কেরালার পাঁচ জেলায়। গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়তে চলা তওকতের প্রভাবে মুম্বাই এবং গোয়াতেও ভালো প্রভাব পড়বে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এরই মধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনীর (এনডিআরএফ) ৫৩টি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি দলকে উপকূলীয় এলাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি দলগুলোকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাজ্য প্রশাসনগুলোকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
Leave a Reply