অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অলোচনা সাপেক্ষে একটি গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
আজ মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশে একটি আইন নেই, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে। আমরা চাই, সংবিধানের আলোকে আইনের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হোক, যে কমিশন দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবে। এতে নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধান হবে।’
জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতি পাঁচ বছর পর রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেন। এতে নানাবিধ সমালোচনা সৃষ্টি হয়। আবার দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কমিশনার নিয়োগ হলে মানুষের ভোটাধিকার লঙ্ঘিত হয়। তাই সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ও এ বিষয়ে সিভিল সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অলোচনা সাপেক্ষে গ্রহণযোগ্য একটি আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। আবার সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন করার বাধ্যবাধকতা আছে।’
বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘আমরা আশা করি, আইনের মাধ্যমে সৎ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব হবে, যে কমিশন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং উৎসবমুখর করতে পারবে। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষকে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সক্ষম হবে। প্রতিনিধি নির্বাচনে দেশের মানুষ নিজেদের ভূমিকা আরো জোরালো করতে পারবে। তখন গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পেতে শুরু করবে দেশের মানুষ।’
Leave a Reply