ফাহিমা বগুড়া সোনাতলা উপজেলার সজনাতাইর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার বাবার নাম ফারুক হোসেন। ফাইমার স্বামী সাইদুল গাবতলী উপজেলার জানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার (সাইদুল) বাবার নাম ওসমান আলী।
জানা গেছে, প্রেমের সম্পর্ক থেকে পারিবারিক সম্মতিতে ২০০৩ সালে ফাহিমা ও সাইদুলের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে ওই মেয়েটির বয়স পাঁচ বছর। গত ১৬ আগস্ট ফাহিমা হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই দিন সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। পরেরদিন ১৭ আগস্ট পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। তবে ফাহিমার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়।
ফাহিমার চাচা আব্দুল হাই বলেন, ফাহিমাকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই। ফাহিমার মৃত্যুর আগে স্বামীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল।
কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সময় সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন , এএসপি রাজিউর রহমান, গাবতলী মডেল থানার ওসি মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম ও দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে গাবতলী মডেল থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি, তদন্ত চলছে।
Leave a Reply