উজানের ভারি বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে গত এক সপ্তাহ থেকে তিস্তার পানি উঠা নামা করছে। বৃহস্পতিবার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি, টেপাখরিবাড়ী ও ঝুনাগাছ চাপানির চর এলাকার প্রায় সহস্রাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন সুত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা দুপুর ১২ টার দিকে ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এতে তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ আগষ্ট চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। সেই পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বুধবার সকাল থেকে পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার বন্যা সৃষ্টি করে। সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিস্তার পাচ্ছে, এবং সেচ্ছাশ্রম বাধটি হুমকির মুখে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সকাল ১৪ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ১২ টায় ১৬সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌল্লা বলেন, ভারী বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কয়টি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।’
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়শ্রী রানী রায় বলেন আমরা তিনটি নৌকা প্রদান করেছি, জি আর এর ত্রান সহায়তা দিচ্ছি তাদের যেন কোন রকম সমস্যা না হয় সে জন্য সব রকম প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply