1. rkarimlalmonirhat@gmail.com : Rezaul Karim Manik : Rezaul Karim Manik
  2. maniklalrangpur@gmail.com : রংপুর সংবাদ : রংপুর সংবাদ
বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া - রংপুর সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ১২:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কোটি টাকার মাছ নষ্ট, ক্ষতিপূরণ আদায়ে মৎসচাষীদের মানববন্ধন হাতীবান্ধায় পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার চিলাহাটি-ঢাকা রুটের ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ করার দাবিতে মানববন্ধন জামায়াতকে কর্মসূচি পালনে অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাতীবান্ধায় শহীদ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা এপ্রিল মাসে সার্বিক কর্ম মূল্যায়নে শ্রেষ্ঠ আদিতমারী থানা নীলফামারী থেকে দিবাকালীন ট্রেন, জেলায় আনন্দের জোয়ার জিএম কাদেরের গাড়ি আটকে মনোনয়ন দাবি রংপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১৩ লাখ পশু আসাদুজ্জামান নূর এমপির সাথে নাসিব নীলফামারীর শুভেচ্ছা বিনিময়

বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : রবিবার, ৯ মে, ২০২১
  • ৩৫ জন নিউজটি পড়েছেন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (৯ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এর আগে সকালে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদনটি মঞ্জুর করেনি বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই একটা আবেদন নিয়ে আসছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। আপনারা এও জানেন তিনি (খালেদা জিয়া) আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে প্রিজনে রয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউম্যানটি, তিনি তাকে মানবতার তাগিদে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১-এর (১) ধারা অনুযায়ী তার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে সুবিধা মতো চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং বাসায়ই অবস্থান করছিলেন।’

মন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) হঠাৎ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এর মধ্যে তার ছোট ভাই আবার আসছিলেন আবেদনটি করেছিলেন, তিনি বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন আমাদের। আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য সেখানে পাঠিয়েছিলাম। সেটাও আপনারা জানেন।’

‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে মত আসছে, তারা স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, ৪০১ ধারায় সাজা স্থগিত করে যে সুবিধাটি দেয়া হয়েছে, এটা দ্বিতীয় বার…তার সাজা মওকুফ করে তাকে বিদেশে পাঠানোর কোন অবকাশ এই ৪০১-এ দ্বিতীয়বার নেই। এটা তারা জানিয়ে দিয়েছেন।’

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে সেই সাজাটা স্থগিত হয়েছিল যে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না বা বাসা থেকেই চিকিৎসা নেবেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত অনুযায়ী, আমরা তাদের আবেদনটা মঞ্জুর করতে পারছি না। এখন তাদের আমরা এটাই জানিয়ে দেব।’

আপনারা কী বিষয়টি মানবিকভাবে দেখছেন না- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই কথাটা আপনি কেন বললেন? মানবিক বিষয় দেখব বলেই তো আমরা পাঠিয়েছি। আইন অনুযায়ী তাকে কোনভাবে দেয়া যায় কি-না। প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেয়ার কোন স্কোপ নেই এটাই আইন মন্ত্রণালয় থেকে জানিয়েছে। মানবিকতা দেখিয়েই প্রধানমন্ত্রী বাসায় রেখে চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছিলেন।’

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে সরকারের কারণে বেগম জিয়ার যথাযথ চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতেও যদি বিএনপি এমন অভিযোগ তোলে- এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘দেখুন বিএনপি কী অভিযোগ করল সেটা প্রশ্ন আসে না। আমাদের আইন অনুযায়ী যেটুকু করণীয় আমরা সেটুকু করছি। যেখানে মানবতার প্রশ্ন এসেছে সেটাও আমরা করেছি। বিএনপি আবেদন করতেই পারে। আইনের বাইরে তো আমরা কিছু করতে পারি না।’

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দী ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- এই দুটি শর্তে তার দণ্ড স্থগিত করা হয়।

গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৩ মে বেগম জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। গত ৫ মে রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে শামীম ইস্কান্দার আবেদনটি দিয়ে আসেন। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হয়।

গত ৬ মে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সবচেয়ে বড় জিনিস যেটা তা হল, এর আগে ওনার (খালেদা জিয়া) দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায়। ৪০১ ধারা কাজ কিন্তু সম্পন্ন হয়ে গেছে। তারপর আবার এটাকে ওপেন করার স্কোপ আছে কিনা সেটা আমরা দেখব। সেটা দেখে আমরা আমাদের অভিমত দেব। যথাশীঘ্র আমরা সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের মার্চে করোনা মহামারী শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেয়। প্রথম দফা মুক্তির মেয়ার শেষ হয়ে আসলে গত বছরের ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ায়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ থেকে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়।জাগোনিউজের খবর।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার দিন

Leave a Reply

এই ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | রংপুর সংবাদ.কম
Theme Customization By NewsSun