ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে জন্ম নিয়েছে নতুন বিতর্কের। বিকিনি পরতে অস্বীকার করেছিলেন নারী বিচ বল টিম। যে কারণে তাদের শাস্তি পেতে হয়েছে। ইউরোপের হ্যান্ডবল ফেডারেশন প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ১৫০০ ইউরো জরিমানা করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনর বেঁধে দেওয়া নিয়মের বাইরে গিয়ে ‘ভুল পোশাকে’ খেলতে নেমেছিল নরওয়ের নারী হ্যান্ডবল দল। এই বিতর্কের মাধ্যমে আবারও পছন্দের পোশাক পরে খেলার সুযোগের দাবি উঠেছে।
আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল ফেডারেশনের নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষরা শর্টস পরে নামতে পারবেন। তবে নারীদের বিকিনি বটমস পরা বাধ্যতামূলক। সেই বিকিনি আঁটোসাঁটো হতে হবে। এবং পায়ের উর্ধাংশের দিকে বিকিনির কাপড়ের কাটিং থাকবে। সেই বেঁধে দেওয়া নিয়মে কাপড়ের পরিমাণও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বিকিনির উরুর পাশের প্রস্থ ১০ সেমি বা ৩.৯ ইঞ্চির বেশি যেন না হয়। কিন্তু গত সোমবার নরওয়ের নারী হ্যান্ডবল দল বিকিনির বদলে শর্টস পরেই খেলতে নামে।
নরওয়ের হ্যান্ডবল ফেডারেশন অবশ্য নারী খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকেই খেলোয়াড়দের হয়ে জরিমানা দেওয়া হবে। নরওয়ের হ্যান্ডবল ফেডারেশনর প্রধান কারে গেই লিও সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘নির্ধারিত কাপড়ের অংশের মধ্যেই খেলোয়াড়রা যাতে নিজেদের পছন্দের পোশাক বেছে নিতে পারেন, সেরকম নিয়ম চালু করা উচিত। অ্যাথল্যাটরা কোন পোশাকে বেশি স্বচ্ছন্দ, তা ভেবে দেখা উচিত।’
বেশ কয়েকবছর ধরেই হ্যান্ডবলে স্বল্পদৈর্ঘ্যের পোশাক নিয়ে ক্রীড়ামহলে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। এবারের টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে ইউরোপীয় ফেডারেশনের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল নরওয়ের হ্যান্ডবল অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু সেই অনুরোধ খারিজ করে জানানো হয়, নিয়ম ভাঙলে জরিমানা দিতে হবে। নরওয়ের হ্যান্ডবল ফেডারেশন আরও বলেছে, আমাদের মেয়েদের জন্য আমরা সত্যিই গর্বিত। যারা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের মঞ্চে জোরালো করে বার্তা দিয়েছে। আমরা একসঙ্গে পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে এই লড়াই চালিয়ে যাব।’
Leave a Reply