রীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের ছয় শত বছরের পুরনো হাজীপাড়া শাহী মসজিদটি সংস্কার ও মেরামত করার দাবী এলাকাবাসীর। এলাকাবাসী মসজিদটি সংস্কার ও মেরামত করার উদ্দ্যোগ নিলে মসজিদ টি ভাঙ্গে না ফেলা ও কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়ায় আনুমানিক ৬শত বছরের এ পুরনো মসজিদটি ১২৮৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ কাজ শুরু করেন ওই এলাকার বাসিন্দা হাজী ত্যলেঙ্গা বসুনিয়া এবং ১৩০১ সালের আগেই মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়।মসজিদ নির্মাণ করার কিছুদিন পড়ে ১৩১২ সালে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা হাজী তালেঙ্ঘা বসুনিয়া ৮০ বছর বয়সে ছয় ছেলে ও চার কন্যা রেখে মৃত্যু বরণ করেন। পরে তাকে ঐ মসজিদের দক্ষিণ পাশে সমাহিত করা হয়।
মসজিদ টি ৬০ ইঞ্চি ওয়াল গাথুনি, তিন টি দরজা, ৩ গম্বুজ বিশিষ্ট ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ১২ ফুট প্রস্থের এ মসজিদটিতে তৎকালীন সময়ে ২ কাতারে ৫০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতেন।
উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের হাজী পড়ায় বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাওয়ায় বেড়েছে মুসল্লীর সংখ্যা । এলাকাবাসী মুসল্লীদের নামাজের কথা চিন্তা করে মসজিদের মুল ভবন থেকে বারান্দা দিয়ে ১০ টি কাতার বৃদ্ধি করলেও মুসল্লীদের নামাজে দাঁড়ানোর জায়গা না হওয়ায় পুরাতন এ মসজিদটিতে বিভিন্ন স্থানে ফাটল সৃষ্টি হলে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী মসজিদ টি সংস্কার ও মেরামত করা সহ প্রসস্থ করার উদ্যোগ নিলে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ খবর পেয়ে হাজীপাড়া শাহী মসজিদ সহ ,ময়নামতির কোট, খেরকাটি পীরের মাজার, সতীশের ডাঙ্গা,দুর্গ প্রাচীর এবং এর অভ্যন্তরীণ অংশ, জরিপকাজ পরিচালনা করে এ মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ না ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানান,আমরা মসজিদটি সংস্কার ও মেরামতের জন্য দীর্ঘ ৯ বছর ধরে প্রত্নতত্ত বিভাগ সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেছি।কিন্তু সেই আবেদনের বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন সারা না পাওয়ায় কোন অগ্রবর্তী না হওয়ায় ও প্রত্নতত্ত বিভাগের সংস্কার ও মেরামত করার আশ্বাস দিলে সেই আশ্বাসও তারা বাস্তবায়ন না করায় আমরা মসজিদ কমিটি সহ মুসল্লিরা বসে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মসজিদ টির অবকাঠামো ঠিক রেখে সংস্কার ও মেরামত করার কিন্তু ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে কে বা কাহারা প্রত্নতত্ত বিভাগ ভুল বুঝালে তারা আমাদের কাজ না করার নির্দেশ দেন।তাই এলাকাবাসী মসজিদটি সংস্কার ও মেরামত করার জোর দাবি জানান।
Leave a Reply