নীলফামারীতে নিজ বাড়িতে হোসেন আলীর হত্যা ঘটনার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০)।এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে তার বড় ছেলে মতিয়ার রহমান (২৭)। উদ্দেশ্য ছিল বাড়ি বিক্রি করে টাকা বুঝে নেওয়ার পর ওই টাকা আত্মসাৎ এবং বাড়ি ক্রেতাকে হত্যা মামলায় ফাঁসানো।
রবিবার (১১-জুলাই) সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে!
গত শনিবার (১০-জুলাই) সকাল ১১টার দিকে হত্যার শিকার হোসেন আলীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর হত্যা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মাহমুদ-উন নবী জানান, প্রতিবেশী শাহিনুর আলমের কাছে সাড়ে ৯ লাখ টাকায় হোসেন আলী তার বাড়িটি বিক্রি করেন। বাড়ির ক্রেতা টাকা বুঝে দিলেও বাড়িটি রেজিস্ট্রি হয়নি এখনও।ক্রেতা শাহিনুর আলমকে ওই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল গত শনিবার।ক্রেতাকে বাড়ি ছেড়ে না দিয়ে টাকা আত্মসাতের লক্ষ্যে হোসেন আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম ও বড় ছেলে মতিয়ার রহমান হোসেন আলীকে হত্যা করার পরামর্শ করেন।পরামর্শ মত গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হোসেন আলীর বাম হাত বিচ্ছিন্ন করে।এরপর রক্তক্ষরণে হোসেন আলীর মৃত্যু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।
এ ঘটনায় নিহতের ছোটভাই আলাল হোসেন বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
Leave a Reply