মাহির খান:
সম্মান শব্দটি যত ছোট মনে হয় তার পরিধি ধরে রাখা ছাড়া মানুষ ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পরে। প্রাথমিকে যখন স্কুল পড়তে যেতাম তখনই প্রথম শিখেছি সম্মান শব্দের পরিধি এবং এখনো শিখছি।এই শব্দটি যতটা অবলম্বন করে চলাফেরা করবেন জীবনে ঠিক ততোটাই সমাজে মান্য হবেন যার সমকক্ষ অর্থ দিয়েও পাবেন না। চিনিকে খাওয়ার জন্য যেমন পিঁপড়া ছুটে ঠিক তেমনি তোমার হাতে যতক্ষণ অর্থ থাকবে সেই সময়টুকুই সম্মান পাবেন শুধু তাদের কাছে যারা আপনার চিনির স্বাদ পায়।
সম্মান এমনি একটি সোপান যা অর্থের সমতুল্য নয়।
সম্মান এমনি একটি সোপান যা টাকা পয়সা অর্থকড়ির সমতুল্য নহে। একজন শিক্ষক যেমন শিক্ষার্থীদের শেখায় ঠিক তেমনি বাস্তব জীবনে চলারপথে অনেক বাস্তবিক শিক্ষা আপনি পাবেন যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পরিপন্থি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আপনাকে জীবন গঠনে চালিকা শিক্ষা থেকে শুরু করে সব নীতি হাতেখঁড়ি শিক্ষা দিবে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরেও বাস্তবিক অনেক শিক্ষা রয়েছে যা জীবনে চলার পথে অর্জন করতে হয়। সম্মান যেমন মানুষকে উচ্চ শিখরে পৌছায় ও সমাজে সম্মানীমুকুট পরায়। অর্থ দিয়ে যদি সম্মান কেনা যেত তাহলে কেউ নীতিগত শিক্ষার পিছনে ছুটতো না।
তবে আজকের সমাজে মানুষ টাকাওয়ালাকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে লোভে। তারা মনে করে পয়সাওয়ালা লোকের পাচাটা গোলামী করলে কিছু পয়সা হাতানো যাবে। সে জানে না গোলামী চামচাবাজী করতে গিয়ে সে নিজেকে কোথায় দাঁড় করিয়েছে। নিজের আত্মসম্মানবোধ যদি সে জানতো তাহলে কখনোই কেউ এমনটি করতো না।
আবার কাউকে সম্মান দিয়ে কোন কাজের সময় নেওয়ার পরও যদি সেই ব্যক্তি কথা রাখতে না পারে তিনিও কিন্তু ব্যক্তিত্বহীন। হয়তো ঈর্ষার্ণিত হয়েও তিনি সুকৌশল অবলম্বন করে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পরে মত বদলও করে থাকেন বলে তিনিও নিজের ব্যক্তিত্ব হারান সমাজের কাছে।
লেখক:
সহ:সম্পাদক-
সাপ্তাহিক রংপুর সংবাদ।
Leave a Reply